ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক :
প্রকাশিত : ১২:৪০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
Digital Solutions Ltd

হাদি হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে শাহীন চেয়ারম্যানের নাম, অর্থ–অস্ত্র জোগানের অভিযোগ

প্রকাশিত : ১২:৪০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

তদন্তে উঠে এসেছে হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনের পরিকল্পনার নতুন তথ্য (ফাইল ছবি)

নিউজ ডেস্ক :

জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনের পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ওরফে ‘শাহীন চেয়ারম্যান’।

মূল সংবাদ

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের জন্য অর্থ ও অস্ত্রের ব্যবস্থাপনায় শাহীন চেয়ারম্যানের সরাসরি ভূমিকা ছিল। তিনি একা নন, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সহযোগিতায় আরও কয়েকজন ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। এদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সন্দেহভাজনের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

গোয়েন্দাদের দাবি, হাদির ওপর হামলার পর হামলাকারীদের ঢাকা থেকে সীমান্তের দিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ। এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলার আগে ও পরে হত্যাকারীদের সঙ্গে তার একাধিকবার যোগাযোগ হয়েছিল।

হাদিকে ‘ঝুঁকি’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে শরিফ ওসমান হাদির সক্রিয় ভূমিকা এবং গত বছরের ৫ আগস্টের পর তার ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে গভীর উদ্বেগ তৈরি করে। দলটির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে হাদিকে ‘বড় ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই তাকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ছক তৈরি হয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

শাহীন চেয়ারম্যানের প্রোফাইল

শাহীন আহমেদ দীর্ঘদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এই নেতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নথিতে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শাহীন চেয়ারম্যান সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যান। তদন্তে জানা গেছে, ভারতে অবস্থান করেই তিনি বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে দেশে থাকা ‘স্লিপার সেল’-এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের চেষ্টা চালান।

অ্যাপভিত্তিক যোগাযোগের প্রমাণ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ কল ও খুদেবার্তার সূত্র ধরে শাহীন চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে পলাতক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হামিদের সঙ্গে হামলাকারীদের যোগাযোগের তথ্যও মিলেছে। ভারতে অবস্থানরত কয়েকটি গ্রুপ অ্যাপভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঢাকায় থাকা সহযোগীদের কাজ সমন্বয় করছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তের অগ্রগতি

সূত্র জানায়, এই মামলার সন্দেহভাজন তালিকায় আরও কয়েকজন রাজনীতিকের নাম এসেছে। তাদের ভূমিকা যাচাইয়ে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শাহীন চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কেরানীগঞ্জের দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম বলেন,
‘সব দিক বিবেচনায় নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডসহ সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট হবে।’

জাতীয় বিভাগের অন্যান্য খবর

 Somoyer Kotha
Follow Us

৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া

নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com