এক পর্যায়ে এনসিপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শিক্ষকদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বাধ্য হয়েই স্কুল ছুটি দেওয়া হয়।’
সাইফুল আরো বলে, ‘আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার হয়নি, কিন্ত আমাদের কেন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিল আহমেদ বলেন, ‘গতকালকের ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয় বলে আগে আমাদের জানা ছিল না। যারা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করেছে আমরা তাদের শাস্তির দাবি করছি। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান করছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এ বিষয়ে এনসিপির স্থানীয় নেতারা এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের শামছুল হক তোরণ থেকে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের নিরালা মোড়ে পথ সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা, ডা. তাজনুভা জাবিনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের প্রায় ৯ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।