ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
সবার কথা ডেস্ক :
প্রকাশিত : ০২:২৮ এএম, ০৩ জুলাই ২০২৫
Digital Solutions Ltd

অপেক্ষা করতে করতে হাসপাতালের বারান্দায় ২ নারীর সন্তান প্রসব, নবজাতকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০২:২৮ এএম, ০৩ জুলাই ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত।

সবার কথা ডেস্ক :

বুধবার (২ জুলাই)  বিকেলে  সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় সন্তান প্রসব করেছেন দুই নারী। অপেক্ষা করতে করতে তারা বারান্দায় সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর এক নারীর নবজাতক শিশু মারা গেছে।

দুই নারীর স্বজনরা অভিযোগ তুলেছেন, চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারণেই ঘটেছে এই ঘটনা। তাছাড়া ঘটনার ছবি তোলার পর সেবা নিতে যাওয়া স্থানীয় দুই গণমাধ্যমকর্মী রোষানলের শিকার হয়েছেন।

 

হাসপাতাল সূত্র ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেটের কোপানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের সাহিন মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগমকে (১৯) নিয়ে তার স্বজনরা বুধবার দুপুর ২টার দিকে লেবার ওয়ার্ডে যান। এসময়  গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ রামপাশা গ্রামের রতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুপ্রিতা রানী দাসও (২৫) সেখানের লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় অপেক্ষা করছিলেন।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেবার পেইন উঠার পর বারবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অপেক্ষা করতে বলে। এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বারান্দায় চেয়ারে বসা অবস্থা সুমি বেগম সন্তান বাচ্চা প্রসব করেন। এর ১০ মিনিট পর সুপ্রীতি রানীও সন্তান প্রসব করেন। তখন হাসপাতালের কাউকে না পেয়ে সহযোগিতা করেন অন্যান্য রোগীর সঙ্গে আসা নারীরা। তারা তখন নিজের কাপড়ের অংশ বিশেষ টানিয়ে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন। তবে প্রসবের পর একজন নারী চিকিৎসক সেখান থেকে গিয়ে তাদের ভেতরে নিয়ে যান। তবে ঘণ্টাখানেক পর মারা যায় সুমী বেগমের নবজাতক সন্তানটি।

 

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় দুজন সাংবাদিক। তারা বিষয়টি জানতে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

সুমি বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তিনি দুপুর ২টার দিকে লেবার ওয়ার্ডে যান। দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। বারান্দায় প্রসবের পর ডাক্তার আসেন। এ বিষয়ে তার বাবা আজাদ মিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ওসমানী হাসপাতালে বেড সংখ্যা মাত্র ৫ শত। বুধবার রোগী ছিল ২ হাজার ৯ শত। এরকম অবস্থা সব সময় থাকে। তিনি বলেন  অনেক সময় ডেলিভারি রোগী বেশি থাকেন। বেড সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। পর্যায়ক্রমে ডেলিভারি করা হয়। এ কারণে দেরি হয়। তাছাড়া রোগীর স্বজনরা সেভাবে ডাক্তারকে নোটিশ করতে পারেননি। তাই বাইরে সন্তান প্রসব হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ভেতরে নেওয়া হয়।  এই বিষয় আরো জানতে আমাদের সবার কথার সাথে থাকুন।

স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য খবর

 Somoyer Kotha
Follow Us

৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া

নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com