নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমরা দেশটাকে তরুণদের হাতে ছেড়ে দিতে চাই। চাকরির জন্য নয়, বরং দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, যারা ৭২–এর সংবিধানের পক্ষে কথা বলেন তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসেন না, আর যারা দেশে দুর্নীতিকে চরমে নিয়ে গিয়েছিল তারা আবার ক্ষমতায় ফিরতে চায়। তবে জনরোষে তাদের সে আশা পূরণ হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্দোলনরত ৮-দল খুলনার উদ্যোগে নগরীর ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে সমাবেশটি শেষ হয় বিকেল ৪টায়।

ডা. শফিকুর রহমান তরুণদের উদ্দেশে বলেন—
“তোমরা প্রস্তুত হও দেশ পরিচালনার জন্য। চাকরির অপেক্ষায় নয়, বরং কীভাবে দেশ চালাতে হবে সেটা শেখো।”

সমাবেশের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীরসাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, “জনগণ আর ভোট চুরি করে কাউকে ক্ষমতায় যেতে দেবে না।”

সমাবেশে উপস্থিত নেতারা

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন—

• বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক

• খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন

• বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার

• খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী

• জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি–জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান

• বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন

• ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল

• ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

• বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ

আরও বক্তব্য দেন

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। এর মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের আমির, সেক্রেটারি, সমন্বয়কারী ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ।

সমাবেশটি পরিচালনা করেন—
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এবং ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগরের সহসভাপতি শেখ মো. নাছির উদ্দীন।