ছবি: সংগৃহীত
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আকাফ আদিয়াত সোয়াদ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে কোচিং ক্লাসের সময় নির্ধারিত কক্ষে না থেকে বইমেলায় যাওয়াই তার জন্য শাপে বর হয়ে দাঁড়ায়।
রুটিন অনুযায়ী আকাফ সেদিন স্কুলে যায় এবং বেলা ১টার দিকে ক্লাস শেষে কোচিং ক্লাসের জন্য ১০৯ নম্বর কক্ষে যায়। সেখানে ব্যাগ রেখে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলের পাশের ইংলিশ ভার্সন ভবনে চলা বইমেলায় ঘুরতে যায় সে। ঠিক সেই সময়ই একটি যুদ্ধবিমান ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। আগুন ধরে যায় পুরো ভবনে, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে স্কুল এলাকা। বিধ্বস্ত ভবনেই ছিল আকাফের ক্লাসরুম ও কোচিং রুম।
বুধবার সকালে আকাফ ও তার মা রীনা নাসরিন প্রথম আলোকে জানান, ছেলের ফেলে যাওয়া স্কুলব্যাগ নিতে এসেছিলেন তাঁরা। কোচিং শিক্ষকের মেসেজ অনুযায়ী ব্যাগটি তাঁর জিম্মায় রয়েছে, তবে তিনি স্কুলে না আসায় ব্যাগটি এখনও সংগ্রহ করতে পারেননি।
ভবন বিধ্বস্তের সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে আকাফ জানায়, ‘আমি তখন বইমেলায় ছিলাম। হঠাৎ অনেক জোরে একটা শব্দ হইল। বাইরে আইসা দেখি, আমাদের ভবনের সিঁড়ির পাশে দাউ দাউ কইরা আগুন জ্বলতেছে। ধোঁয়া চারদিকে ছড়ায় গেছে। সবাই চিৎকার কইরা দৌড়াচ্ছে।’
স্পেশাল বৃত্তি ব্যাচের ছাত্র আকাফ জানায়, তার গ্রুপে পাঁচজন ছিল। অন্যান্য গ্রুপের আরও ১৫–১৬ জন একই ব্যাচে ছিল। বইমেলায় যাওয়ার আগে কয়েকজন ব্যাগ রেখে বেরিয়ে যায়, তবে বাকি শিক্ষার্থীরা কক্ষে ছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় আকাফ।
আকাফের মা রীনা নাসরিন বলেন, ‘আল্লাহ আমার ছেলেকে বাঁচাইছে। বইমেলায় গিয়েছিল বলেই বাঁচল। ব্যাগ পেলাম কি পেলাম না, সেটা বড় কথা না। আমার ছেলেটা বেঁচে আছে, এটাই সবচেয়ে বড়।’
পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে রাজধানীর তুরাগ থানার নয়ানগরের শুক্রাভাঙ্গা এলাকায় বসবাস করছেন।
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com