ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক :
প্রকাশিত : ১২:১৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Digital Solutions Ltd

দীর্ঘ প্রবাসের অবসান, আগামীকাল দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

প্রকাশিত : ১২:১৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত।

নিউজ ডেস্ক :

দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল নিজ দেশে ফিরছেন। জন্মভূমি, স্বদেশের মাটি ও মায়ের কাছে এই ফেরাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখছেন। তাদের ভাষ্য, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিপীড়ন, শোক ও দুঃসময় পেরিয়ে তারেক রহমান আবার দেশের রাজনীতির সম্মুখভাগে ফিরছেন।

দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রবাসে থেকেও তিনি দলকে সংগঠিত রেখেছেন, তরুণ মানসিকতা ও উদ্যম দিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার সরাসরি সামনে থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেবেন তিনি।

২০০৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। সে সময় রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ওই বছরই, ১১ সেপ্টেম্বর, বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চিকিৎসাধীন ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করেন। এরপরই লন্ডনে পাড়ি জমান তারেক রহমান।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু শৈশব থেকেই। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন মাত্র ছয় বছরের শিশু। সে সময় পিতা জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে থাকায় ছোট ভাইসহ মায়ের সঙ্গে তাকেও কারাবন্দী হতে হয়। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হলেও কিশোর বয়সেই রাজনীতির নানা বাস্তবতা কাছ থেকে দেখেন তারেক।

নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়া যখন এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তারেক রহমান বিশ্ব রাজনীতি ও দর্শনের নানা চিন্তাধারার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল থেকে শুরু করে জন লক, রুশো, ভলতেয়ার ও কার্ল মার্কস—বিভিন্ন দার্শনিকের চিন্তা থেকে তিনি রাজনীতি ও মানুষের অধিকার বিষয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেন। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকেও কয়েক দফা গৃহবন্দী থাকতে হয়।

তারেক রহমানের আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক পথচলা শুরু ১৯৮৮ সালে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচন-পূর্ব সময়ে তৃণমূলের সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের লক্ষ্যে নানা বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় যুক্ত হন। ২০০২ সাল থেকে ধীরে ধীরে দলের নেতৃত্বে উঠে আসেন। ২০০৫ সালে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গ্রামেগঞ্জে সংগঠন গড়ে তুলতে ব্যাপক সফর করেন।

২০০৭ সাল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ওই বছর রিমান্ডে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেলেও আর ঘরে ফেরা হয়নি। হাসপাতাল থেকেই ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যেতে হয় তাকে।

২০০৯ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যেও দলকে পুনরায় সংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রবাসে থেকেও তিনি দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র নিয়ে সক্রিয় চিন্তা করেছেন। নিপীড়ন, নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার নেতাকর্মীদের বিষয়েও ছিলেন সদা উদ্বিগ্ন।

দলীয় নেতাদের দাবি, ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পুরো সময়ে নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিকা পালন করেন তারেক রহমান। কর্মীদের সংগঠিত ও উজ্জীবিত রাখতে তিনি ছিলেন কার্যকর নির্দেশক। একদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নজর, অন্যদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা—দুই দিকই সামলেছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার তাগিদও দিয়ে আসেন।

সব জল্পনা-কল্পনা ও উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে তারেক রহমানের এই দেশে ফেরা বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে, এটি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য খবর

 Somoyer Kotha
Follow Us

৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া

নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com