ছবি: সংগৃহীত
আজ সকাল আনুমানিক ৮টা ৫৫ মিনিটে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গী ক্যাম্পাসে চার দফা যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। সর্বপ্রথম আলিম দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে মিল্লাতের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভে যোগ দেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এসব দাবি প্রশাসনের কাছে বহুবার তোলা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা অবশেষে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।প্রথমে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন—“দুর্নীতির কালো হাত ভেঙে দাও–জুড়ে দাও”, “আমাদের দাবি, মানতে হবে” ইত্যাদি। পরে তারা মাদরাসা ক্যাম্পাসের মাঠে গিয়ে অবস্থান নেন এবং একইভাবে স্লোগানে মুখর করে ক্যাম্পাস পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলেন।শিক্ষার্থীদের চারটি প্রধান দাবি হলো— (১) প্রশাসনের হঠাৎ করে বেতন বৃদ্ধি বাতিল ও পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, (২) অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি কমানো, (৩) ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে গরিব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, (৪) স্কলারশিপ চালুর ব্যবস্থা। এছাড়া দুটি বড় দাবি হলো— (১) মিল্লাতের বাস ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা এবং (২) একাডেমিক মাঠ সংস্কার।ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় অবস্থানের পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা মিল্লাতের প্রধান ফটক ভেঙে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এসময় সড়কে যান চলাচল প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে যায় আরও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন—মাদরাসার কিছু শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন, কয়েকজনকে মারধর করে রক্তাক্ত করে তোলেন এবং অনেকে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। লাঠিচার্জের মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়। আরও অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ টাকসুর আলিম থানা সভাপতি ওবায়েদ ও সেক্রেটারির উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। যারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন—তাদেরও কয়েকজন হামলার শিকার হন বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান।
এছাড়া টাকসুর জিএস-এর সঙ্গে শিক্ষকদের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে তা হাতাহাতির প্রান্তে গিয়ে দাঁড়ায়। কয়েকজন শিক্ষক তার উপর চড়াও হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি প্রশাসন গ্রহণ করেনি। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন—“আমাদের দাবি যৌক্তিক, তা না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবো না। প্রয়োজনে পরীক্ষা বয়কট করবো।” তাদের আরও স্পষ্ট বক্তব্য—টাকসুর দায়িত্বশীলদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া
নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com