চাঁদা না দেয়ায় প্রাণনাশের হুমকি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সংলগ্ন সাগর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মুন্সী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। চাঁদা টাকা দিতে অপারগতা দেখালে জেলের মাছ ধরার ট্রলার আটকে রাখা হয়। চাঁদাবাজির বিষয়ে বিস্তারিত ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলে নিখিলেত বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশ হুমকি প্রদান করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির লোকজন। এ ঘটনায় পরিবারের জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাঙ্গাবালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও রাঙ্গাবালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জেলে নিখিল হাওলাদার।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের হিন্দু গ্রামের বাসিন্দা জেলে নিখিল হাওলাদার (৪৭) বলেন, “আমি মাছ ধরে জীবিকা চালাই। মাছ ধরার জন্য ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল মুন্সীর টেবিলে ১০ হাজার টাকা, সেক্রেটারি জাকির মতুব্বরকে ২০ হাজার টাকা ও নজরুল মুন্সীর খালু হাবিবকে আরও ১৪ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপরও ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মহিউদ্দিন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি বশির আমার কাছে আরও ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় আমার মাছ ধরার ট্রলার মিটারবাজারের কাছে আটকে রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সংখ্যালঘু হিন্দু বলেই কি বারবার আমাকে টাকা দিতে হচ্ছে?”
নিখিলের দাবি, চাঁদা সংক্রান্ত তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে জাকির মতুব্বরের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল তার বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাদের পক্ষে পাল্টা ভিডিও বক্তব্য আদায় করা হয়।
এ সময় মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, “এখন তোর কোন নেতায় ঠেকাইবে? বেশি বাড়লে ঘরে অস্ত্র রাইখা মামলা দিয়া দিমু।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের সবাই চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মুন্সীর ঘনিষ্ঠ। এর আগেও তিনি অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুমতির নামে ১৪ লাখ টাকার বানিজ্য এবং রাজনৈতিক বিরোধে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতিকে মারধরসহ একাধিক বিতর্কিত ঘটনায় আলোচিত ছিলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, “নিখিল আওয়ামী লীগ করে। সে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমি তাকে চিনিও না, তার সঙ্গে আমার কোনো রাজনৈতিক বা সামাজিক সম্পর্ক নেই।”
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমারৎ হোসেন বলেন, “নিখিল নামে এক জেলে একটি জিডি করেছেন। তিনি ভয়ে মামলা করতে চাননি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com