ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
জান্নাতুল ফেরদৌসী শ্রাবন্তী :
প্রকাশিত : ০৭:৩৭ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
Digital Solutions Ltd

জুলাই আন্দোলনে গুলিতে বোনের এবার বিমান বিধ্বস্তে সহপাঠীদের মৃত্যু দেখল তাসপিয়া

প্রকাশিত : ০৭:৩৭ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৫

গত বছরের ১৯ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় গুলিতে নিহত ছোট বোন নাঈমা সুলতানার সঙ্গে বড় বোন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাসপিয়া সুলতানা (বাঁয়ে) ছবি: পরিবারের সৌজন্যে

জান্নাতুল ফেরদৌসী শ্রাবন্তী :

গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকায় গণ–অভ্যুত্থানের সময় ছোট বোন নাঈমা সুলতানাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যেতে দেখেছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাসপিয়া সুলতানা। ওই ঘটনা তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। তার পর থেকে চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু এর এক বছর না যেতেই নতুন আরেকটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আবারও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে তাসপিয়াকে।

গত সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ভেঙে পড়ে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। এতে অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হতাহত হন। ঘটনার সময় কলেজ চত্বরে উপস্থিত ছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসপিয়া। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ধ্বংস, মৃত্যু ও দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন দেখে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি।

পরে তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে বাসায় নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তবে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক সেই দৃশ্য এখনো তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া তাসপিয়া বর্তমানে কারও সঙ্গে কথা বলছে না, সারাক্ষণ কাঁদছে এবং কিছু খেতে চাইছে না বলে জানান তার মা।

আজ বুধবার সকালে মুঠোফোনে তাসপিয়ার মা আইনুন নাহার বলেন, "গত বছর ১৯ জুলাই আমার ছোট মেয়ে নাঈমা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় আমাদের বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে। সেখানে তাসপিয়া ঠিক পাশে দাঁড়ানো ছিল। সেই দৃশ্য তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। অনেক দিন চিকিৎসা করিয়েছি, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। এবার চোখের সামনে আবার এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল।"

তাসপিয়া সুলতানার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমুয়াকান্দা গ্রামে। তিনি ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন। তার বাবা গোলাম মোস্তফা মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

তাসপিয়ার বাবা বলেন, “মেয়েকে আবার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। তার মানসিক অবস্থা ভয়াবহ। যে করেই হোক তাকে সুস্থ করে তুলতে হবে।”

জাতীয় বিভাগের অন্যান্য খবর

 Somoyer Kotha
Follow Us

৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া

নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com