আল ইয়ামিন আবির,স্টাফ রিপোর্টার :

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার হুমকি ছিল না বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার (১৯ মে) ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং পাক-ভারত উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভি 

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে ‘পরমাণু হুমকি’র প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী সংসদদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটির বৈঠকে পরমাণু বিতর্কে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন পররাষ্ট্র সচিব। 

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মিশ্রি বলেন, পাকিস্তানের দিক থেকে পারমাণবিক হামলার কোনো হুমকি ছিল না। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ সবসময়ই প্রচলিত অস্ত্রের ব্যবহারের মধ্যেই সীমিত ছিল।

কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। 

সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে মিশ্রি বলেন, ইসলামাবাদ চীনের তৈরি এইচকিউ-৯ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবহার করেছে। তবে এটি খুব প্রসাঙ্গিক ছিল না। কারণ আমরা তাদের বিমানঘাঁটিগুলোতে শক্তভাবে আঘাত করেছি। 

ভারতের কোনো যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে কি না— এ বিষয়ে তিনি জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সীমাবদ্ধতার কারণে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান মিশ্রি। যদিও কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। নয়াদিল্লি এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। কিন্তু পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়। তবে ভারতে এতে গুরুত্ব না দিয়ে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে। 

ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীদের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইসলামাবাদ জানায়, ভারত বেসামরিক মানুষের ওপর লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ নিয়ে দুই দেশই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।