নাঙ্গলকোট দৌলখাড় ইউনিয়নের কান্দাল ৯নং ওয়ার্ডে গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ-চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
নাঙ্গলকোট দৌলখাড় ইউনিয়নের কান্দাল ৯নং ওয়ার্ডে গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ-চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
আল ইয়ামিন আবির,স্টাফ রিপোর্টার :
নাঙ্গলকোট দৌলখাড় ইউনিয়নের কান্দাল ৯নং ওয়ার্ডে গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ-চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা গৃহবধূর ঘর থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা, স্বর্ণালংকার এবং জরুরি দলিলপত্র লুট করে নিয়ে যায়।জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।
বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় প্রতিবেশী ইমাম হোসেন সহ দুইজনের নাম উল্লেখ এবং একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভুক্তভোগী নারী নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. ফজলুল হক।
মামলার পর অভিযান চালিয়ে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালকের চাকরি করেন। ঘটনার দিন বাড়িতে অসুস্থ শাশুড়ি এবং দুই বছরের শিশুকন্যা ছাড়া আর কেউ ছিল না।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলায় উল্লেখ করেন, পাশের বাড়ির ইমাম হোসেনের সঙ্গে তাদের পরিবারের দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর আগেও ইমাম গৃহবধূকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিলেন।
পরে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২টা ১০ মিনিটের সময় ইমাম হোসেন আরও দুজনসহ বাড়ির দরজা ভেঙে ঐ গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। পরে হাত-পা ও মুখ বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর চুল কেটে ফেলে অভিযুক্তরা।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা গৃহবধূর ঘর থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা, স্বর্ণালংকার এবং জরুরি দলিলপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় পাশের ঘরে থাকা গৃহবধূর শাশুড়ি টের পেলে, তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ইমাম হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। চাকরির সুবাদে বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলাম না, সেদিনও ওই পরিবারের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই রাতে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ওসি ফজলুল হক জানান, শুক্রবারই মামলাটি দায়ের হয়। মূল আসামিকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে মেডিকেল টেস্টের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার বলেন, “প্রাথমিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ শেষে এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে থানায়। আমার ওসি সাহেবের সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে কথা হয়েছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বিধায় পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।