সোমবার (১২ মে) রাতে সদর মডেল থানার এসআই রিপন মৃধা বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ নগরের শহীদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার ১৭ নম্বর আসামী মো. হানিফ, তার ছেলে ২৯ নম্বর আসামী মো. জিসান, মামলার ২৪ নম্বর আসামী শওকত মিথুন। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠালে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাড়ি ‘চুনকা কুটির’ থেকে আইভীকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়ে। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর গত শুক্রবার ভোরে পুলিশ আইভীকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়। পরে আইভীকে নিয়ে আসার পথে পুলিশ হামলার শিকার হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঐ ঘটনার ৪দিন পর সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, সোমবার রাতে এ মামলা হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় ৫টি হত্যা এবং হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয়।
পরে আইভীর বাড়িতে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে পরদিন শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।
ঐ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয় ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে। আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় শহরের উকিলপাড়া মোড়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঐ সময় পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হন।