শনিবার (১০ মে) স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা যে হার্ডওয়্যার এনেছিল, তাতে ভারতীয়রা অবাক হয়ে থাকতে পারে। কারণ, আমরা এখন আবিষ্কার করছি যে, তারা চীনা-ভিত্তিক প্রযুক্তির প্রচুর ব্যবহার করেছে এবং এই মুহূর্তে মনোযোগ 'জে-১০' (J-10) যুদ্ধবিমানের দিকে।
ক্লার্ক বলেন, মনে হচ্ছে পাকিস্তানের একটি 'জে-১০' যুদ্ধবিমান 'রাফাল' ভূপাতিত করেছে, যা ভারতের অস্ত্রাগারে থাকা ফরাসি তৈরি যুদ্ধবিমান। নিঃসন্দেহে, পাকিস্তানিরা তাদের বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র 'এইচকিউ-৯' ব্যবহার করেছে, যা বেশ কার্যকর হতে পারে।
'তাই আমার মনে হয়, পাকিস্তান তাদের চীনা সরঞ্জামের মাধ্যমে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করেছে, তা দেখে ভারতীয়রা অবাক হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু জেনারেল আসিম মুনিরের যুদ্ধবাজ মনোভাব দেখে তারা অবাক হবে না, কারণ তারা বরং এটাই প্রত্যাশা করেছিল।'
ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আরও বলেন, ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল, জেনারেল মুনিরকে এই শিক্ষা দেওয়া যে, তারা আসলে যা কিছু করতে হবে তা করতে প্রস্তুত। প্রকৃতপক্ষে, তারা তাদের পশ্চিমা নৌবহরের একটি বাহক যুদ্ধ দল মোতায়েন করেছে। এটি করাচি থেকে মাত্র ৩০০ মাইল দূরে অবস্থিত। পাকিস্তানিরা যদি এই অবস্থান থেকে পিছু হটার কোনো উপায় না খুঁজে পায়, তাহলে আরও সাধারণ যুদ্ধের হুমকি সৃষ্টি হবে। দুর্ভাগ্যবশত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের এমন একটি লাইন দিয়েছে, যেখানে তারা উভয়েই এগিয়ে যেতে পারে। উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, এর কৃতিত্বের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা জোর দিয়ে বলা হয়েছে।