সাবরিনা জলিল :

কূটনৈতিক উত্তেজনা আর সীমান্ত উত্তপ্ততার মধ্যে, আজ ভোররাতে ঘটে গেল এক বিস্ময়কর ও রোমাঞ্চকর ঘটনা। ভারতীয় সেনাবাহিনী মিসাইল নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের তিনটি কৌশলগত ঘাঁটির দিকে—কিন্তু চমকটা অন্যখানে! ছয়টি মিসাইল পড়েছে ভারতের নিজস্ব সীমান্তেই!

পাকিস্তান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, তাদের বিমানবাহিনীর তিনটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে একযোগে বড় ধরনের মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। আল জাজিরার বলছে, ৬টি মিসাইল ভারতের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবেই পড়েছে। 

সূত্র বলছে, এই মিসাইল হামলা ছিল অত্যন্ত গোপন এবং হাই-প্রিসিশন। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, বা হয়তো চিপ-লেভেলের ভুল কোডিংয়ের কারণে, ছয়টি মিসাইল নিজের দেশের ভূখণ্ডেই পতিত হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, সরকোটের রফিকি বিমান ঘাঁটি এবং চকওয়ালের মোরাইদ ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা করেছে ভারত। তবে, গুরুত্বপূর্ণ নূর খান ঘাঁটির হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান।
পাক ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক দাবি করেন, ভারতের কিছু মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটির কাছে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু, ঘাঁটির কোনো সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর দাবি, যে ছয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ভারতের নিজ রাজ্যেই পতিত হয়েছে তা ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই পাঞ্জাবের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের ওপর ছুড়েছে।

তিনি বলেন, ভারত পাঞ্জাবের ঝালান্দার বিভাগের অদমপুর থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো ছোড়ে, যার মধ্যে একটি অদমপুরে আঘাত হানে। আর বাকি পাঁচটি তারা ফেলে পাঞ্জাবেরই অমৃতসরে। ভারত তাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। 

পাক ডিজিএফআই মহাপরিচালকের এমন ‘অদ্ভুত’ অভিযোগের পরও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়াই জানায়নি ভারত। 

অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো ভোর থেকে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার বিষয়েই আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। 
এই ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে আবারও এক নতুন উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে—তা সময়ই বলে দেবে।