তবে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানি দাবি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ‘এখনও যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে’।
গত শুক্রবার (৯ মে) পাকিস্তান দাবি করে, তাদের একটি যুদ্ধবিমান দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও আগে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়। তবে ভারত তখন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
রোববার ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে তাদের মাত্র পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছে।
গত শুক্রবার (৯ মে) বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে অন্তত ২৫ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কামান ও ছোট অস্ত্রের গুলিতে তারা নিহত হয়।
এছাড়া আরও দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানে নয়টি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে পরিচালিত হামলায় ১০০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। যার মধ্যে পুলওয়ামা হামলাকারী এবং আইসি-৮১৪-এর ছিনতাইকারীও রয়েছে।
কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনার জেরে প্রায় দুই সপ্তাহের উত্তেজনার পর অবশেষে মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায় ভারত। যার নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’।
হামলায় কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা প্রতিহতের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় বলে দাবি ইসলামাবাদের। এছাড়া বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক হতাহত হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে কয়েকশ মানুষ হতাহতের পাশাপাশি উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) নিজেদের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে হামলার পর ভারতে ‘অপারেশ বুনিয়ানুন মারসুস’ নামে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যা কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষ নিশ্চিত করে।