ছবি : সংগৃহীত।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতারনার মাধ্যমে বাবা- মার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তিন বিঘা ফসলী জমি ও দুই বিঘা জলায়াতনের পুকুরে অভিযোগ উঠেছে মো. মোক্তার হোসেন ও মানিক হোসেন নামের দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
আর দুই ছেলে যোগসাজোস করে বাবা-মাকে বয়স্ক ভাতা করে দেবার কথা তাড়াশ উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে এনে কৌশলে সমস্ত সম্পত্তি লিখে নেন।
ছানোয়ার-মতিজান দম্পতি উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের বাসিন্দা।
অবশ্য, প্রতারণার মাধ্যমে জমি লিখে নেওয়া ও দুই ছেলে এবং ছেলেদের স্ত্রীদের কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেন।
বুধবার দুপুরে ওই দম্পতিরা জানান, তাঁদের কে বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে প্রায় তিন বছর পূর্বেই তাড়াশ উপজেলা সদরে এনে একজন দলিল লেখকের পূর্বেই লিখে রাখা জমি সম্পদানের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁদের নামে থাকা তিন বিঘা ফসলী জমি ও দুই বিঘা পুকুর দুই ভাই সমান ভাগে রেজিষ্ট্রি করে নেন।
জমি লিখে নেওয়ার পর দুই ভাই প্রায় মাস খানেক বাবা মাকে দেখ ভাল করলেও পরর্বতী মাস থেকে তাঁদের উপর কারণে-অকারণে চড়াও হতে থাকে। এমন কি দুই ভাই মিলে তিন দফায় বাবা-মাকে মারধর করেন। বের করে দেন বাড়ি থেকে এমনই ভাষ্য ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেন মন্ডলের।
তিনি আরো জানান, আমার দুই ছেলে ও ছেলের স্ত্রীদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে কুল কিনারা না পেয়ে ঢাকা গিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার টাকা মাসিক বেতনে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে প্রায় দুই বছর চাকরি করি। বয়সের কারণে ঢাকায় অসুস্থ হওয়ায় আমাকে চাকরি থেকে বাদ হয়। তখন নিরুপায় হয়ে গত মে মাসে বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু দুই ছেলে আমাদের কে বাড়িতে উঠতে বাঁধা দেয়।
যা নিয়ে আমি গ্রামবাসীর সরাপন্ন হই। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব সরকার রাজু গ্রাম্য শালিস বসান। এতে দুই ছেলের অসদাচারণের কারণে বিষয়টি সুরাহ হয়নি।
ভুক্তভোগী মোছা. মতিজান নেছা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, বয়স হওয়ার কারণে আমি ও আমার স্বামী কাজ করতে পারি না। তাই অর্থ সংকটে চেয়ে চিন্ততে যা পাই তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন চলে।
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও একই গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজিব সরকার রাজু জানান, দুই ছেলে মিলে তাদের বাবা ও মায়ের সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নিয়েছেন। যা নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য শালিসও হয়েছে।
ওই দম্পতির ছেলে মো. মোক্তার হোসেন জমি লিখে নেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাবা ও মা নিজের ইচ্ছায় আমাদের নামে জায়গা লিখে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ওই অসহায় দম্পতিকে কিভাবে সহয়তা করা যায় বিষয়টি ভাবছি।
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com