ফ্যাসিস্ট কামালের ভারত থেকে স্বশস্ত্র হামলার হুমকি
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা ও ষড়যন্ত্র ছিল বলে এক অদ্ভুত দাবি করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একইসাথে তিনি নিজেদের ক্ষমতচ্যুতির জন্য জামায়াতে ইসলামীকেও দায়ি করেন। হুমকি দিয়ে বলেন, তারা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। তারা বসে থাকবেন না। প্রয়োজনে আবার অস্ত্র হাতে নেবেন।
ভারতীয় পোর্টাল দ্য ওয়ালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্যাসিস্ট কামাল এসব দাবি করেন। সাক্ষাৎকারটি নেন দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকার। প্রায় ২৫ মিনিটের সাক্ষাৎকারে জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা প্রকাশ বা ভুল স্বীকার করতে দেখা যায়নি তাকে।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এবং যাবতীয় দলিল জমা দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং অভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়। এরপর এই সাক্ষাৎকার দেন জুলাই গণহত্যার অন্যতম শীর্ষ এই অভিযুক্ত।
সাক্ষাৎকারে আন্দোলন দমন করতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা প্রসঙ্গে ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মূলত (এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি) মূলত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি রিপোর্ট পেশ করেন। কিন্তু অস্থিরতার মাত্রা সম্পর্কে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে কোনও উল্লেখযোগ্য পূর্ব সতর্কতা ছিল না। গোয়েন্দারা ষড়যন্ত্রকারী হয়ে থাকতে পারেন বলে তিনি দাবি করেন।
গণহত্যার এই মাস্টারমাইন্ড নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন। তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য এবং কেবল সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার জন্য কাজ করেছে
ফ্যাসিস্ট কামাল দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে সামনে এনে একটি ষড়যন্ত্র করেছিল। তিনি পুলিশের প্রাণঘাতি অ্যাকশনের পক্ষে যুক্তি দেন। দাবি করেন, কেবল তারা প্রোটোকল অনুসরণ করেছিলেন। সহিংসতা এবং অগ্নিসংযোগের মুখোমুখি হওয়ায় শেষ উপায় হিসাবে বল প্রয়োগ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়েছি। এখন তারা আমাদের ফাঁসি দিবে। আওয়ামী লীগের পলাতক এই শীর্ষ নেতা অভ্যুত্থানে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও বিরোধিতা করেন। দাবি করেন, রিপোর্টে দেখানো অনেক মৃত্যু সাম্প্রতিক ছিল না, আগেকার অনেক মৃত্যু রিপোর্টে দেখানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশ অফিসার এবং আওয়ামী লীগ সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কোটা সংস্কার আন্দোলন কিভাবে একদফা আন্দোলন তথা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় সেপ্রসঙ্গেও কথা বলেন কামা। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনজন মন্ত্রীকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু তারা ব্যর্থ হন। কারণ শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে চলে যায়। হাসিনা এই কাজের দায়িত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের কাছেই দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com