ঢাকা, ১৮ মে, ২০২৪
মাহবুবুর রহমান :
Publish : 01:26 AM, 07 May 2024.
Digital Solutions Ltd

লবণ উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টনে।

Publish : 01:26 AM, 07 May 2024.
লবণ উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টনে।

লবণ উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টনে।

মাহবুবুর রহমান :

মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে; উপকূলের ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। বৃষ্টিবিহীন বাকি দিনগুলো পাওয়া গেলে উৎপাদিত হবে আরও অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ। এরই মধ্যে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। বাণিজ্যিকভাবে লবণ চাষে গত ৬৩ বছরে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন লবণ কখনো উৎপাদিত হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, জেলাতে বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। চলতি মৌসুমে (১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পাঁচ মাস) জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীতে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে এই সময়ে উৎপাদিত হয়েছিল প্রায় ২১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের তুলনায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ বেশি উৎপাদন হয়েছে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

 

বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ২০২০ সালে যখন লবণনীতি করা হয়, তখন দেশে লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে দেশের লবণের চাহিদা ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।

মো. ইদ্রিস আলী বলেন, একদিকে যেমন ৬৩ বছরের মধ্যে এবার রেকর্ড লবণ উৎপাদন হয়েছে ঠিক তেমনি দৈনিক গড়ে লবণ উৎপাদন হচ্ছে রেকর্ড পরিমান। আগে যেখানে দৈনিক গড়ে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন লবণ হয়েছে সেখানে এই রেকর্ড ছাড়িয়ে চলতি মৌসুমে দৈনিক গড়ে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। আশা করি, যদি দাবদাহ আর কিছুদিন থাকে তাহলে দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

টেকনাফের সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ, হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী, খারাংখালী, সিকদারপাড়া, কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী, পিএমখালী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উৎপাদিত লবণচাষিরা মাঠের ওপর স্তূপ করে রেখেছেন। কেউ কেউ বাড়িঘরের আঙিনায় মজুত করে তার ওপর পলিথিন বিছিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই লবণ মাঠে গর্ত করে পলিথিন বিছিয়ে লবণ মজুদ করছেন।

চৌফলদন্ড এলাকার চাষি গিয়াস ও খুরুশকুলের চাষি ইদ্রিস বলেন, এখন প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। কয়েক দিন পর অর্থাৎ বৃষ্টি হলেই লবণের মৌসুম শেষ হবে। তখন প্রতি মণ লবণের দাম আরও ১০০ টাকা বেড়ে যেতে পারে। প্রতি মণ লবণ তখন ৪০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি টাকায় বিক্রি হবে এই আশায় চাষিরা লবণ মজুত করছেন।

বাংলাদেশ বিভাগের অন্যান্য খবর

 Somoyer Kotha
Follow Us

৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী।

সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন

প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।

নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: [email protected]

বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com

শিরোনাম বরগুনায় বজ্রপাতে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত শিরোনাম রায়পুরায় নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুবেল শিরোনাম ৬৫ দিনের চিন্তায় অন্ধকারাছন্ন জেলে পল্লী শিরোনাম তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধে নারীসহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে জখম শিরোনাম আমতলীতে আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শিরোনাম ওয়ারীতে বাথরুমে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু